ছন্দমালা
বিদায় বেলার ডাক নিয়ে কে তুমি এলে,
নয়ন ভিজাতে হায় কে তুমি এলে।
ফুরিয়ে গেছে হাসির মালা, গেঁথে এনেছি বিদায় মালা,
বরণ করে ধন্য কর হৃদয়ের তপ্ত জ্বালা।
যেতে নাহি দেব হায়, তবু যেতে দিতে হয়, তবু চলে যায়।
হাসি দিয়ে যদি লুকালে তোমার সারা জীবনের বেদনা,
আজও তবে হেসে যাও, এই বিদায়ের দিনে কেঁদনা।
সত্যের শক্তি আর জ্ঞানের ধারায়, জীবন ভরিয়ে উঠুক কানায় কানায়।
তোমরা চলে যাবে দূরে, স্মৃতিটুকু রবে হায়,
বেদনার বালু হয়ে মোদের অন্তর সাহারায়।
যাত্রা তবে শুভ হোক আঘাত কর দ্বারে, নতুন ভবিষ্যৎ তোমাদের ডাকছে বারে বারে।
যখন তুমি এসেছিলে ভরে, কেঁদেছিলে তুমি হেসেছিলে সবে,
এমন জীবন করিবে গঠন, মরণে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভূমন।
ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবে জানি তোমরা ক্ষমা সিন্ধু
তবুও ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি হে ক্ষমাশীল বন্ধু।
হায়রে হৃদয়, তোমার সঞ্চয়, দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথ প্রাণে ফেলে যেতে হয়
নাই, নাই, নাইরে সময়।
শত বাঁধা ছিন্ন করে তোমাদের পথ ধরে
যেতে পারি যেন অসীমের সন্ধানে।
বিদায় বেলার বিরহ ব্যথায়, আখি উঠে ছলছলি
যাবার বেলায় যে অপরকে কাঁদায়, তাকেই মানুষ বলি।
কত অপরাধ করেছি মোরা, কত ব্যথা দিয়েছি মনে
বিদায় বেলা ভুলে যেও সব, রেখ না হৃদয় কোণে।
হে তরুণ যাত্রীদল যার যেথা স্থলে
খুজিয়া লও করিয়া সন্ধান, নিজ শক্তি বলে।
এক সাথে বাঁচি আর এক সাথে মরি, এসো বন্ধু এজীবন সুমধুর করি।
তরুণ কাঁটা ধন্য করে ফুটবো মোরা ফুটব গো,
তরুণ রবির সোনার আলো দু’হাত দিয়ে লুটব গো।
যার বিদ্যা নেই সে জানে না ভাল মন্দ, শিরে দুই চক্ষু আছে তথাপি সে অন্ধ।
চক্ষু থাকিতে অন্ধ যার আলোকের দুনিয়ায়, সিন্ধু সেচিয়া বিষ পায় তারা অমৃত নাহি পায়।
আমি যার কাছে একটি অক্ষর শিখিলাম, আমি যেন তার গোলাম হয়ে গেলাম।
উপস্থাপনায় ঃ মোঃ আবু সাঈদ ইসলাম (টুকু),
মোসাঃ শারমিন আক্তার রেবা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন